কোথাও আমার হারিয়ে যাওয়ার নেই মানা (বেড়ে উঠার গল্প-২)
লিখেছেন লিখেছেন মামুন ০৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ০১:৫৫:৩৮ দুপুর
মোবারক স্যারের পুকুরটা জাহাঙ্গীরনগর স্কুল ও কলেজের ঠিক দক্ষিণ পাশে। ভার্সিটির ভিতর হবার পরও এর নাম 'মোবারক স্যারের পুকুর' হবার পিছনে কি কারণ থাকতে পারে? একা একা ভাবছিল সবুজ। পুকুরটির পশ্চিম দিকের পাড়ে চুপচাপ বসে আছে সে। দ্বিতীয় বারের মত ওর মনে এই নামকরণের পিছনের কারণ কি তা জানার ইচ্ছেটা কেন জানি জেগে উঠল। হয়ত মোবারক স্যার দীর্ঘদিন এই পুকুরটি লীজ নিয়ে মাছ চাষ করেছিলেন, তাই বোধ হয় এরুপ নামকরণ। তবে রংপুর পুকুর এর নাম কেন রংপুর হল? রংপুর নামের কোনো শিক্ষক আছেন বা ছিলেন কিনা ভাবতে চেষ্টা করল...
ধুত্তুরি! কি ভাবছে এসব?
আজ মন খারাপের চুড়ান্ত হয়েছে বাসায়। এজন্য স্কুলেও যায়নি। এই স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র সবুজ। কিন্তু বাসায় সকালে আব্বুর কিছু কথা শুনে ভাল লাগেনি... মনটা সেজন্যই খারাপ। ইদানিং আব্বু কোনো ভাবেই সবুজের উপর স্যাটিসফাইড নন। জে এস সি পরীক্ষায় জিপিএ ফাইভ পাওয়ার পরেও আব্বু বলেছিল, ' আরো ভাল করতে হবে।' সবুজের ইচ্ছে ছিল কমার্স নিয়ে পড়ার। কিন্তু আব্বুর ইচ্ছেতে সাইন্স নিতে হল। সবাই আফজাল স্যারের বাসায় ব্যাচে পড়ে। সবুজও সেখানে পড়তে চাইলে আব্বু গম্ভীর হয়ে বললেন, ' হুম, পড়ার থেকে আড্ডা হবে বেশী। বাসায় ভালো একজন টিচার রেখে দিবো।' ও যেটা চায় আব্বু সবসময় সেটার বিপরীত করবে। অথচ ছেলেবেলায় ও যেটা চেয়েছে বিনা শর্তে এক কথায় সেটা করেছে। সেই একই মানুষ কিভাবে ও বড় হবার সাথে সাথে চেঞ্জ হয়ে গেলেন?
মোবাইলের রিং বাজাতে বসা থেকে উঠে পড়ল। শামিমের কল। রিসিভ করল। ও কোথায় জানতে চাইলে সবুজ জানালো। সবুজকে স্কুলের পশ্চিম পাশের পেয়ারা বাগানে আসতে বলে লাইন কেটে দিলো শামিম। ধীরে ধীরে সামনে আগাতে থাকে সবুজ। হাটে আর ভাবে আজকাল সে নিজেও আব্বু আম্মুর সাথে অশান্ত ব্যবহার করছে। যে কোনো কথাতেই কেমন বিরক্ত হয়... ঝাঁঝিয়ে ওঠে... ঠিক মত কথার উত্তর দিতে ইচ্ছে করেনা। তার কাছে আজকাল ওনাদেরকে বিরক্ত লাগে। এজন্য আব্বু-আম্মুই দায়ী। একটা গাছের ডালের সাথে হোঁচট খেয়ে থামতে বাধ্য হল। যন্ত্রনায় মাথায় আগুন ধরে গেল। চিন্তার তিক্ততার সাথে পায়ের নখের আঘাতের ফলে সৃষ্ট যন্ত্রনা, আক্ষরিক অর্থেই সকালটাকে আরো খারাপ করে দিল। আপাতত ভাবনা চিন্তাকে বাক্সবন্দী করে অদূরে বসে থাকা শামিম ও রাসেলের দিকে আগালো। দৃঢ় চোয়াল, দৃপ্ত পদক্ষেপ।
কাছে যেতেই সে দেখল শামিম ও শিহাব বসে আছে। আর খোকন সিগ্রেট খালি করে তার ভিতরের তামাক বাইরে ফেলছে। কৌতূহল নিয়ে সবুজ সব দেখতে লাগল। শেষে শামিমকে জিজ্ঞেস করল,
: কি করছে ও?
: স্টিক বানাচ্ছে!
: স্টিক?
: হ্যা, গাঁজা বানাচ্ছি। খাবি?
: ধুর! আমি কি এইসব খাই?
: আরে একদিন খেলে কিস্যু হবে না।
খোকনও শামিমের কথায় সায় দিল। শিহাব সবুজকে জিজ্ঞেস করল,
: তুই পুকুর পাড়ে এতোক্ষন একা একা কি করছিলি?
পেয়ারা বাগানের যে যায়গাটায় ওরা এখন বসে আছে সেটা বেশ উচুতে এবং দূর থেকে সহজে না দেখার মত। তবে এখান থেকে পুকুরটা বেশ ভাল দেখা যায়। তাই সবুজকে একা একা বসে থাকতে দেখেই শামিম ফোন দিয়েছিল। সবুজ আজকের সকালের মন খারাপের কথা ওদেরকে জানালো। কৈশোরের বয়সটাই এমনি। বন্ধুদের কাছে সব কিছুই অকপটে শেয়ার করে ফেলে। একটা সিগ্রেট ধরিয়ে সবুজকে অফার করল। জীবনের প্রথম সিগ্রেট! নিবে কি নিবে না ভাবতে ভাবতে কিছুদিন আগে ফিরে গেলো সবুজ। জে এস সি পরীক্ষার আগের ঘটনা। সাভারে অ্যাসেড এ মডেল টেস্ট দিতে গিয়েছে। আব্বু মটর সাইকেলে নিয়ে গেলেন। কিন্তু এরপর পরীক্ষা শেষ না হওয়া পর্যন্ত সেখানেই একটানা রয়ে গেলেন। পরীক্ষা শেষ হবার পর বন্ধুদের সামনেই কোশ্চেন নিয়ে দেখলেন... কি লিখেছে জিজ্ঞেস করলেন। ওর বন্ধুরা মনে মনে যে হাসছে সেটা বেশ বুঝতে পারল। এরপরে আবার বাইকের পিছনে করে নিয়ে এলেন। এভাবে প্রতিটি মডেল টেস্টের দিনেই একই ঘটনা। এসব নিয়ে সে বন্ধুদের কাছে হাসির পাত্র হয়। কিন্তু আব্বুর সেদিকে কোনো বিকার নেই। ... আর একদিন শিহাব এসেছে বাসায়। ওর সামনেই ওর যত বদনাম আব্বু করলেন। সে ঠিকমত পড়ে না... খায় না... ঘুমায় না ইত্যাদি ইত্যাদি। ... আর আব্বু যখনই কোনো কথা বলা শুরু করেন সবসময় অন্যদের সাথে তুলনা করে ওকে সব সময় আরেকজনের মতো হতে বলেন। এটাও সবুজের ভীষণ খারাপ লাগে। আর এখন সে বড় হয়েছে... ওকে এখনো আব্বু সেই বাবু মনে করে... ওর নিরাপত্তার কথা বেশী বেশী ভাবে আর ওর ওপর অযৌক্তিক নজরদারি করে। মাঝে মাঝে ওর নিজের ড্রয়ার কেউ যে ঘেটেছে সেটা বুঝতে পারে। তবে সব চেয়ে বড় কথা হল, ওর সকল চাওয়া-পাওয়া কে দমিয়ে তাদের পছন্দকে গুরুত্ব দিতে বলেন। এখন কমার্স বাদ দিয়ে সাইন্স নিতে ওকে বাধ্য করাটাও সেরকম একটি ব্যাপার...
মুহুর্তের ভিতরে এই সব কিছু সবুজের মনে এক ঝড় তুলে দেয়... সে শামীমের বাড়িয়ে দেয়া গাঁজা ভর্তি সিগ্রেটিটি প্রচন্ড এক আক্রোশে তাড়িত হয়ে হাতে তুলে নেয়... নিজেকে ধবংস করার এক বুনো ইচ্ছের কাছে এই প্রথম পরাজিত হতে খুব ভালো লাগে ওর! ধীরে ধীরে নেশার অতল গহ্বরে তলিয়ে যেতে থাকে সে... ওর পৃথিবীটা দুলে ওঠে!
সবুজের আব্বা হারুন সাহেব জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন প্রশাসনিক অফিসার। এখন এস্টেট সেকশনে রয়েছেন। ওনার একটা মটর বাইক রয়েছে। প্রতিদিন সেটায় করেই অফিসে যাতায়াত করেন। থাকেন পানধোয়ায়। ভাড়া বাসাতে। আজও অফিসে যাবার পথে ভিসি স্যারের মাঠের পাশে যখন এলেন, দেখলেন স্কুল ড্রেস পড়া তিনজন এক কর্ণারে বসে রয়েছে গোল হয়ে। স্পীড একটু কমিয়ে ভালো করে তাকালেন। না, সেখানে সবুজ নেই। একটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন। তবে ছেলে তিনটি সিগ্রেট খাচ্ছে এটা দেখতে পেয়ে কেন জানি মনটা খারাপ হয়ে গেলো। তার নিজের ছেলে নেই দেখে যে স্বস্তি পেয়েছিলেন, মুহুর্তেই তা উবে গেলো। তার নিজের ছেলে না হোক, স্কুল পর্যায়ের ছেলেরা এভাবে স্কুল চলাকালীন প্রকাশ্যে স্কুল পালিয়ে সিগ্রেট টানবে? হচ্ছেটা কি এদের ভিতর? কেন এই অবক্ষয়?
আজ সকালে ছেলেকে একটু কড়া কথা শুনিয়েছেন। এজন্য তার নিজেরও মনটা খারাপ হয়ে আছে। দুই ছেলেমেয়ের ভিতরে এই ছেলেটিকে একটু বেশী শাসনে রাখছেন আজকাল। কারণ এটাই বেড়ে উঠার সময়। এখনই বিভিন্ন সঙ্গে মিশে বখে যাবার আদর্শ সময়। নিজের চাকুরীস্থল ক্যাম্পাসের ভিতরে হওয়াতে ছেলেকে দেখেশুনে রাখার একটা আলাদা সুযোগ রয়েছে। আর ছোট মেয়ে ক্লাস টুতে পড়ে। তাকে নিয়ে আপাতত কোনো ভাবনা নেই। অফিসের সামনে এসে পড়লেন। চিন্তিত মনে বাইক স্ট্যান্ডে রেখে ভিতরে ঢুকলেন।
দুপুরে লাঞ্চে বাসায় এসে শুনলেন সবুজ আজ স্কুলেই যায় নি। একটা অদম্য ক্রোধ কয়েক পলক ব্রেইনে ঘুরপাক খেয়ে গেলেও নিজেকে সামলালেন। ছেলের রুমে একবার যাবেন কিনা ভেবেও কি মনে করে গেলেন না। ডাইনিং টেবিলে ছোট মেয়েকে সাথে নিয়ে খেতে চাইলেন। সবুজের মাকে বললেন মেয়েকে ডেকে দিতে। সে জানালো বসার ঘরে মেয়ে টিভিতে কার্টুন দেখছে। হারুন সাহেব সেখনে গেলেন। মেয়ে বাবাকে দেখে একবার ফিরে তাকালো। কিন্তু ঐ পর্যন্তই। আবার টিভি দেখতে লাগল। পাশে গিয়ে বসলেন। বললেন,
: কি করছ আম্মু?
: দেখছ না কার্টুন দেখছি।
: ওহ, স্যরি। ... চল আমার সাথে খাবে।
: না, তুমি খেয়ে নাও... আমি পরে খাবো।
: আচ্ছা। - চলে যাচ্ছিলেন এমন সময় মেয়ে আবার তাকে ডাকল,
: আচ্ছা আব্বু, Nick চ্যানেলটা নেই কেন? যেটায় ডোরেমন কার্টুন দেখাত?
: ওটা দেখানো নিষেধ করে দিয়েছে।
: কে নিষেধ করেছে আব্বু?
: সরকার।
: সরকার মানে শেখ হাছিনা? – কি বলবে এর উত্তরে একটু ভাবলেন হারুন সাহেব।
: সরকারের তথ্য মন্ত্রনালয় এটা দেখে থাকে। সেখান থেকে এই চ্যানেলের এই কার্টুনটি তোমাদেরকে দেখাতে নিষেধ করা হয়েছে।
: কেন? আমরা দেখলে কি হয়?
: পড়ালেখা বাদ দিয়ে এই যে সারাদিন কার্টুন দেখো... ডোরেমন দেখে দেখে হিন্দীতে কথা বলা শিখছ... তারপর নবিতার মত মিথ্যে কথা বলা শিখছ...এগুলো থেকে তোমাদেরকে সেভ করার জন্যই এটা বন্ধ করা হয়েছে।
: শুধু ডোরেমন কার্টুন বাদ দিলেই কি হিন্দীতে কথা বলা শেখা বন্ধ হবে? এই যে আম্মু সিরিয়াল দেখে, আমিও তো তার সাথে দেখি... সেখানেও তো হিন্দীতে কথা বলে? আর যারা এটা বন্ধ করেছে, তারাও কি সব সময় সত্য কথা বলে? যারা ডোরেমন বন্ধ করেছে তাদের মাথায় কি বুদ্ধি নেই আব্বু... ওদের বাসায় কি আমার মত বাবু নেই?
কি উত্তর দিবেন এই প্রশ্নের হারুন সাহেব?
সন্তানের পছন্দের কাজে বাঁধা দিলে সন্তান বিরক্ত হয়। ওনার মেয়ের পছন্দ টিভিতে কার্টুন দেখা। এইতো পুতুলখেলার বয়স... না হয় কার্টুন দেখেই সময়টা পার করছে। এখন সেকেলে পুতুলের যায়গা দখল করেছে বারবি পুতুলের সেট নিয়ে খেলা কিংবা কম্পিউটারে গেম খেলা। এই প্রজন্ম কেমন করে যেন বড় হয়ে উঠছে!
খাবার টেবিলে বসেও হারুন সাহেব চিন্তায় ডুবে গেলেন। আসলে এখনকার ছেলেমেয়েদের কিছু আচরণ রয়েছে যেগুলো তাদের নিজস্ব কিন্তু ক্ষতিকর। আর এগুলো থেকে বাবা মায়েরা তাদেরকে দূরে রাখতে চাইলেই তাঁরা বিরক্ত হয়ে পড়ে। যেমন তার ছেলের কথাই ধরা যাক। সে চায় একটু বেলা করে ঘুম থেকে উঠতে। আর বাবা হিসেবে তিনি চান সে প্রতিদিন সকালে উঠুক। সবুজের পছন্দ ফাস্টফুড। আর তিনি চান ছেলে ঘরের খাবার খাক। আর ওর পছন্দের এসব আচরণ পাল্টাতে গেলেই ছেলের মুখ ভার হয়... সে বিরক্ত হয়। তবে কি নৈতিকতা ও মূল্যবোধ এর শিক্ষাটা সন্তানদেরকে দেয়া যাবে না?
কিছুটা ডিস্টার্বড মন নিয়ে খাওয়া থেকে উঠলেন। আবার অফিসে যাবার আগে সবুজের রুমে একবার উঁকি মেরে দেখলেন। কেমন নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে আছে... তবে এই অবেলায় এভাবে ঘুমানোটাও তার কাছে ভালো লাগলো না। এখন যদি ডেকে উঠাতে যান, তবে আবার পিতা-পুত্রের দ্বন্দ্ব শুরু হয়ে যাবে। আর ছোটখাট এইসব ব্যাপার নিয়েই সন্তানেরা আজকাল বাবা-মা’র থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। বিষন্ন ভঙ্গীতে স্রাগ করে পিছনে ফিরলেন। ছেলের দিকে আর একবার মায়াভরা দৃষ্টিতে চাইলেন। ঠোঁটের কোণে বিষন্ন হাসিটা এক ঝলক উঁকি মেরেই অদৃশ্য হল। সবুজ এর কিছুই জানতে পারল না। বাবাদের এমন অনেক কিছুই আছে যা সন্তান কখনো জানতে পারে না।
সবুজ ঘুম থেকে সেই বিকেল বেলায় উঠল।
প্রথমে সে কোথায় আছে ঠিক মনে করতে পারল না। ধীরে ধীরে সব মনে পড়ে যেতে লাগল। বিছানা থেকে নেমে বেসিনের সামনে গিয়ে আয়নায় তাকায়। চোখ দু’টো টকটকে লাল হয়ে আছে। ব্রাশ করার সময় পেটের ভিতরে অনেক ক্ষিধের অনুভুতি ওকে গ্রাস করে নিল।
একা একা খেয়ে নিল। খুব তৃপ্তির সাথে খেল আজ। নিত্যদিনের প্রতিটা আইটেম আজ অমৃতের মত লাগল সবুজের কাছে।
এরপর আজ আর বাইরে স্কুল ও কলেজের মাঠে যেতে ইচ্ছে করল না। কেমন একটা বোবা অনুভুতিতে আচ্ছন্ন হয়ে বাসার ছাদে উঠে গেলো। সেখানে একেবারে উপরে পানির ট্যাংকির উপরে বসে চারপাশটা দেখল। নীল আকাশে সাদা মেঘের কম্বিনেশন! খুব ভালো লাগল। সাদা পরীর মত মেঘবালিকাদের দেখতে দেখতে সবুজের মানসপটে একটি কমনীয় মুখ ভেসে আসতে থাকে... সেই মুখ ওদের সাথে পড়ুয়া একজনের!
মিতার!!
ইদানিং এই মেয়েটিকে দেখলে কেন যেন শরীরের ভিতর উত্তেজনার সৃষ্টি হয়... ওর সামনে গেলে চোখের দিকে সবুজ তাকাতে পারে না... কিছু বলতে গেলে গলায় কি যেন আটকে যায়... কথা বের হয় না।
আর সারাক্ষণ শুধু ওর কথা চিন্তা হয়... ওর পাশে থাকতে মন চায়!
ওকে ভাবলে নিজের বদ্ধ জগতটাকে আর আবদ্ধ মনে হয় না... মনটা কেন জানি ফুরফুরে হয়ে উঠল... আব্বু-আম্মু... পড়ালেখা... বন্ধু-বান্ধব সব কিছুকে ছাড়িয়ে মনটা কোথায় যেন হারিয়ে যেতে চাইছে!
আজ সবুজের কোথাও হারিয়ে যাওয়ায় কোনো বাঁধা নেই।।
আহা কি আনন্দ আকাশে বাতাসে ( বেড়ে উঠার গল্প-১) Good Luck
http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/9344/Al%20Mamun%20Khan/52595
বিষয়: সাহিত্য
১১৮৪ বার পঠিত, ১০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আপনাকেও ধন্য সাথে থাকার জন্য।
শুভেচ্ছা রইলো।
ধন্যবাদ এবং অনেক শুভেচ্ছা।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইলো ভাই।
মন্তব্য করতে লগইন করুন